kishor kobita
ঢাকার ছবি
বাংলাদেশের রাজধানীটি ঢাকা
শতশত বছর ধরে
ঘুরছে ঢাকার চাকা
বাংলাদেশের রাজধানীটি ঢাকা।
সকল পেশার মানুষ থাকে
সবাই চোখে স্বপ্ন আঁকে
এই ঢাকাতে কর্ম করে
গড়বে সুখের ঘর
থাকবে সবাই বুকের কাছে
কেউ হবে না পর।
ইতিহাসের সাক্ষী ঢাকা
স্মৃতির ঝুলি আছে রাখা
এই মাটির উপর
পিলখানা ও নাবাব বাড়ি
কত্তো স্মৃতির ঘর।
চওড়া সড়ক অলি-গলি
সকল পথের কথাই বলি
কম ও বেশি সাক্ষী হয়ে
আছে সে সব আজও
সেই গর্বে হার মানবে
হীরায় গড়া তাজও।
বাংলাদেশের রাজধানীটি ঢাকা
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
ঢাকার ছবি আঁকা।
kishor kobita
স্মৃতির প্রিয় গাঁয়
আমার দাদী আমার মা সঙ্গে আমার বোন
আজও আমার যায় হারিয়ে রসুইঘরে মন।
রসুইঘরে ঢেকি ছিল এবং ছিল চুলো
বোনের পায়ে থাকতো নূপুর থাকতো হাতে কুলো।
ঢেকির সাথে মা ও দাদী গড়তো মিতালী
সারাটি ক্ষণ তুলতো যেন সুরের গীতালী।
ধান ভেঙে আসতো চাউল কখনো বা গুঁড়ি
কুলোর সাথে ঝুনুর ঝুনুর বাজতো বোনের চুড়ি।
সেই চাউল ও গুঁড়ি থেকে পেতাম প্রাণের ছোঁয়া
চাউল থেকে মুড়ি হতো সেখান থেকে মোয়া।
মায়ের চোখে ঢেকির ছবি সেই ছবি এই মনে
বোনের হাতে কুলোর নাচন ভাসছে ক্ষণে ক্ষণে।
মাও আছে বোনও আছে নেই তো দাদী আজ
বোনটি গেল পরের ঘরে নিয়ে নতুন সাজ।
ঢেকি আজও স্মৃতির পাতায় অতীত মেখে যায়
আজও আমি যাই হারিয়ে স্মৃতির প্রিয় গাঁয়।
ঘুড়ির মাঠে আয় রে সবে
উড়ছে দেখ আকাশ কোলে
হরেক রঙের ঘুড়ি
ইচ্ছে করে ঘুড়ির সাথে
পাখির মত উড়ি।
কিন্তু আমার নেই তো ডানা
তাই আকাশে উড়তে মানা
স্বপ্ন মেখে দৃষ্টি আমার
ঘুড়ির দিকে ছুঁড়ি
ইচ্ছে করে পাখি কি বা
ঘুড়ির মত উড়ি।
ঘুড়ির নাটাই আমার হাতে
স্বপ্ন উড়াই ঘুড়ির সাথে
রঙিন রঙিন ঘুড়ি উড়ে
দূর আকাশে ওই
নাটাই হাতে মাঠের বুকে
উড়াই ঘুড়ি মনের সুখে
বন্ধু আছ আরো যারা
তোমরা সবে কই?
বাতাস তালে দুলছে ঘুড়ি
সঙ্গে সবুজ মন
ঘুড়ির মাঠে আয়রে সবে
পেরিয়ে সবুজ বন।
সব পাখিরই ডানায় লেখা
সব পাখিরই ডানায় লেখা
আমার বর্ণমালা
সে বর্ণতে ভরা আমার
মায়ের হাতের বালা।
সে বর্ণটা মিশে আছে
পাখির গানের সুরে
সেই সুরেলা কন্ঠ পাবে
চিন ও অচিনপুরে।
যেখানটাতেই যাবে তুমি
শুনবে পাখির গান
মায়ের বালায় পাখির গানে
বাংলা ভাষার মান।
কবি বা লেখক পরিচিতিতে জন্ম স্থান, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, পুরস্কার বা স্বীকৃতি(যদি থাকে)ইত্যাদির বর্ণনা থাকতে পারে।ধন্যবাদ
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।