Eekusher kobita 2021
সম্পাদকীয়

একটা মানুষের অর্ধেক সৌন্দর্য হচ্ছে তার মুখের ভাষা, মুখের ভাষায় সহজেই অনুমেয় কে কতটা ভদ্র কিংবা ভালো বংশের! আমরা নিঃসন্দেহে চরম ভাগ্যবান আমাদের নিজস্ব একটি ভাষা আছে, এতোটুকুও ভুল করে ভাষার মর্যাদা নষ্ট হতে দেয়া যাবে না এবং কোনো মতেই না,,,
করোনার ভ্যাকসিন সহজ উপায়ে এবং সুরক্ষিত উপায়ে সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক পৃথিবী মুক্ত হোক এই ভয়াল অভিশাপ থেকে, সহজ এবং স্বাভাবিক হোক আগামীর সবটুকু সময়
পৃথিবীর সকল মানুষকে স্বরবর্ণ ও ব্যান্জন বর্ণের বর্ণিল শুভেচ্ছা,,,
লেখা দিয়ে যারা পাশে ছিলেন সহযোদ্ধা হয়ে তাদের কাছে “কবিতায় জাগরণ” চিরকালই কৃতজ্ঞ!!
“কথা দিবেন কথা রাখার জন্য
ভাঙার জন্য নয়”
সাহিদা রহমান মুন্নী
শোষনের যবনিকা



জেইনাল আবেদীন চৌধুরী
(অকতুভয় জনপ্রিয় বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা’র শুদ্ধি অভিযানের প্রতি উৎস্বর্গ)
শাষন আর শোষণ দুইয়ে মিলে একাকার,
সাধারণ জীবন হয়েছে বিষময়;
রুদ্ধশ্বাসে করে বন্ধ মনের দুয়ার,
চলেছো করে যে জীবন নাটকের অভিনয়।
মিথ্যে রাজা সেজে মনকে দিচ্ছ সান্তনা,
জাগিয়ে তুলো হৃদয়ের সত্যিকারের রাজাকে
ভেঙ্গে ফেল ভয়ের ভঙ্গুর প্রাচীর।
সত্য সাহসের অঙ্গুলিতে স্পর্শ করে দেখো,
বালির বাঁধের মত ধসে পরবে ওদের ওই শোষনের বাঁধ।
রুদ্ধ মনের বন্ধ তালা খুলে সত্যের মশাল হাতে,
জালিয়ে দাও নৈরাজ্যের শাষন আর শোষনের মঞ্চ।
শুদ্ধ মনের অফুরন্ত শক্তি,
হৃদয়ের শ্রদ্ধা আর ভক্তি;
সত্যিকারে স্বদেশ প্রীতি,
দেখাবে অন্ধকারে জ্যোতি।
তুমি হিংসা,বিদ্বেষ আর নোংরামীর রাবনকে
ধংশ করার এ যুগের রাম,
আমাদের অত্যাচারের হবে চির অবসান।
হে মহা বীর! তোমারই রয়েছে প্রয়োজন।।
এই বাংলার শোষণ আর শাসনের
রঙ্গ মঞ্চের করিতে যবনিকা নাটকের শেষ।
আমি জানি তোমার অসাধ্য নয়।।
তুমি যে সুপার ম্যান আমার অগাধ কল্পনার,
তুমি রাজার রাজা ধংশ কর যত অত্যাচারী,
লোভী রক্ত পিপাসু অশুভো শক্তির দাম্ভিকতা;
আমি সেই দিন দেখিব স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা।।
একুশের চেতনা



মোঃ রায়হান কাজী
একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে,
স্বপ্ন এঁকে যাই বাংলার বুক চিঁড়ে।
বায়ান্নর অদৃশ্য ঘাতকেরা উইপোকা সেজে,
মাঠে নেমেছিলো মানচিত্র খাওয়ার প্রয়াসে।
ক্ষুদ্র জীবনী তরে কত কথায় না মনে পড়ে,
পাখিরা গান গেয়ে যায় নিস্তব্ধ স্বরে।
ভাষার বাগানে ফুটুক ফুল গোলাপ হয়ে,
বর্ণমালা দিয়ে ভরিয়ে তুলুক শব্দ উল্লাসে।
সকালের সোনা রৌদ্রময়ী বানী হয়ে,
অন্তহীন নির্বাক নীলিমার দিকে তাকিয়ে
শহীদের রক্তময়ী স্মৃতিকাহন উঠছে ভেসে।
একুশে ফেব্রুয়ারি তুমি নির্বাক আত্মশুদ্ধিতে,
দিয়েছ প্রাণ মাতৃভাষার অধিকার ঢাল হয়ে।
রফিক সালাম বরকতসহ আর কত ভাই এক হয়ে,
রাজপথ রঞ্জিত করেছে ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে।
কতশত বাঁধা বিপত্তি চিত্রের মতো বিত্ত হয়ে
অস্তমিত সূর্য হয়ে অকালে যাচ্ছে ডুবে।
দিচ্ছে হাতছানি দূষিত শব্দ ভান্ডারের
পরিপূর্ণ করতে আমাদের মাতৃভাষাকে।
সূর্য উঠেছে দেখ পূর্ব দিগন্ত অভিসারে,
রক্তে রাঙানো কত আবির মনিকোঠায় খেলা করে।
ভাষার স্রোতে মায়ের বুলি হয়ে এইপথে,
প্রাণের চেয়েও প্রিয় জানি বাংলা ভাষা টাকে।
একুশ তুমি আছ আমাদের অহংকার রূপে,
পুষ্প অলংকারে সজ্জিত স্বর্গের রানী হয়ে।
Eekusher kobita 2021
মুখের কথা কাইড়া নিতে আইসিটিকে ডাকে



মোস্তফা হায়দার
বর্ণমালা আমার বর্ণমালা
দিনযাপনের নকশীকাঁথায়
ভালোবাসার মালা গাঁথায়
ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে কতক শালা!
শালারা সব নর্তকী আজ
বললে কথা খঞ্জরি সাজায়
টিপাটিপির কলসিকাঁখে
অধিকারে ভাগটি বসায়!
শব্দবাক্যে বাঙালি আজ
কে বলেছে কে
মুখের কথা কাইড়া নিতে
আইসিটিকে ডাকে!
এমন দেশটি কেমন করে
আগলে রাখি বলো
জাতের নামে বজ্জাতি সব
মুখটি মুদে চলো!
ভাষার মাসে কাঁসার বাড়ি
মুখের কথায় ঝাঁডার বাড়ি!
বললে কথা হকের সাথে
হুমকী আসে ক্ষীপ্র দাঁতে।
তবু কথা বলতে হবে
শব্দমালার পাখায় চড়ে
ভাষার মাসে ভাষার দাবী
অনিয়ম তুই কবে যাবি!
স্বকীয়তা



শ্রীস্বদেশ সাধক সরকার
জীবন আগায়,পথ দেয় পরিচয়
মুখের ভাষায় কত কি আলোচনা
সমাজ নিয়ত প্রত্যক্ষ পরীক্ষায়
মনুষ্যত্বের জীবন ধারায়।
একদিন একুশ ছিল ধারাপাতে
নিল স্হান ক্যালেন্ডারে
চলমান মুখভাষা মাতৃত্বের আঁতুরঘর
যাপন করে আগামী ভবিষ্যত।
কোন এক হায়েনা মা-কে শেখায়
নয় আর,এবার তোমার পরিচয়
ও ভাষা রাষ্ট্রভাষা নয়,জীবধ কয়
সে কি হয় !
জুলুম আর বেয়নেট~হায়েনা শ্বাপদ
ছোঁবলের কষাঘাত নিরন্তর।
সংগ্রামী চেতনা,মনুষত্ব্যের প্রাথমিক
পরিচয়~ সোজা শিরদাঁড়া ,চলমান
ভবিষ্যত্বের স্বপ্নময় অনন্য ধ্রুবতারা ।
একুশের রক্ত সজীব ,একুশের পদধ্বনি
ঢাকার রমনা ময়দান নবজীবনের
নয়া অনুরণন~ভাষা আন্দোলন ।
ইতিহাস দেয় পরিচয়~রফিক,সালাম
জব্বর সহ হাজারো শহীদ সাথে
সে মহাপুরুষ“শেখ মুজীব”
পথ প্রদর্শক।
এক ভাষা বাংলাভাষা~বাঙালির
মাতৃভাষা,এমনি কত ভাষায় মায়ের
পরিচয়।
সে ভাষা যদি হয় অপমান-
রাস্তা মুখরিত নয়া জয়গান
জয় বাংলা।
আজ সে ভাষা দেয় সম্মান
একুশ আজি বিশ্ব মাতৃবাষা দিবস
দিকে দিকে দেশে বিদেশে,এক
নয়া জাগরণ।
সম্মানের সে অধিকার দেয় তুলে
ভাষা আন্দোলন
ঢাকা—কাছাড় যেন পথিকৃৎ
অনন্য সোপান
একুশ তাই বাঙালির বুকভরা প্রাঢ
অমৃত সমান ।
ভাষা দেয় পরিচয় জাতি স্বকীয়তা
ভাষা দেয় মায়ের আদর্শ সম্মাননা
একুশ তাই জান দেয় মান দেয়
উন্মেষে নয়া অঙ্কুর ,নয়া উন্মাদনা
বছর ভর চলে সে স্মৃতিচারণা
বিশ্ব দরবারে সে আজ মাতৃ
বন্দনা ।
Eekusher kobita 2021
একুশের সুরে স্বাধীন



আবুল কালাম আজাদ
রক্তের সবগুলো সিঁড়ি ছেড়ে
বিজয়কেতন আজ আকাশে ওড়ে
স্বপ্নচুড়ার মনোরম প্রান্তে ।
বাহান্নর একুশে যা রোপিত
ফুলেফলে হয় তা সুশোভিত
পাকহায়েনাদের অজান্তে ।
একুশ হতে এক রিনিঝিনি সুর
দুঃখ-বেদনা ধীরে সব করে দুর
জনতার মনে আনে ঝংকার।
সে সুরের স্রষ্টারাই একাত্তরে
জেগে তুলতে এ বীর জাতিরে
সমস্বরে ছাড়ে রণহুংকার ।
হুংকারে কাঁপে আকাশবাতাস
ছিঁড়ে যায় নাগিনীর নাগপাশ,
বেজে উঠে প্রলয়ের বীণ—-
পরাধীন শৃঙ্খল হয় মুক্ত,
দেশ ছেড়ে পালায় দুর্বিনীত,
সোনার এ দেশটা হয় স্বাধীন ।
যেই বীণ বেজেছিল বাহান্নতে,
জং ধরে যায় আজ তার তারেতে,
কে জানে কেনো কোন ইশারাতে !
একুশে একুশ



মো: নূরুল ইসলাম
একুশ তুমি জাতির চেতনা,একুশ তুমি আমার মায়ের ভাষার প্রতিধ্বনি।
একুশ তুমি বাংলা মায়ের বুকের পাজর ভাঙ্গা হৃদয়ের আহাজারি।
একুশ তুমি লাল সবুজে অংকিত বাংলার স্বাধীনতার পটভূমি।
একুশ তুমি পরাধীনতার শেকল ভাঙ্গার জোরালো আহবান।
একুশ তুমি বাংলার মায়ের শাড়ির আচঁলে ঢাকা, বর্ণমালার জয়োগান।
একুশের প্রথম প্রহরে যারা জীবন দিয়ে জ্বেলেছে ভাষার আলোক বাতি!
বর্ণমালার মাঝে নক্ষত্র হয়ে জ্বলজ্বল করছে একুশে শহীদ হওয়া সব একুশের সেনাপতি।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ পছর পরে আজও কেনো ভাষা সৈনিকেরা অবহেলিত থাকে?
ভাষার জন্য যারা অকাতরে প্রান করেছে বলিদান তারা পেয়েছে কি প্রকৃত সম্মান?
স্বাধীন দেশে আজও কেনো বাংলা ভাষাকে সইতে হবে এতো অপমান!!
একুশ,তোমাকে কথা দিলাম,মনে রাখবো আমরা তোমায়, আমাদের চিন্তা আর চেতনায়।।
Eekusher kobita 2021
একুশ আমার অহংকার



মোঃ তৌফিক ভুইয়া রিপন
আমি বীর বাঙ্গালী
বাংলা আমার মাতৃভূমি
মায়ের ভাষা বাংলা
সেই ভাষাতেই বলি কথা
মনে পড়ে যায় সেদিনের কথা
কেড়ে নিতে আমার মাতৃভাষা
জালেমের ফরমান জারি হলো
প্রতিবাদ প্রতিরোধে রাজপথ কেপে উঠলো
২১ শে ফেব্রুআরি ১৯৫২ সাল
রাজপথে বাংলার দামাল ছেলের দল
মিছিলের পর মিছিলে পরিণত নগরী
দিশেহারা হলো শাষক গোষ্ঠী
জালেমরা গুলি চালালো নির্বিচারে
সালাম বরকত রফিক জব্বারের লাশ রাজপথে
রক্ত দিয়ে কেনা আমার বাংলা ভাষা
সেই ভাষাতেই বুক ফুলিয়ে বলি কথা
২১ আজ বিশ্বে সমাদৃত সীমাহীন সন্মানিত
তাইতো একুশ আমার অহংকার
মায়ের ভাষা বাংলা আমার অধিকার
কি করে ভুলি আমি একুশে ফেব্রুয়ারি
আজ মুক্ত স্বাধীন আমার পরিচয় আমি বীর বাঙালী।
সংখ্যা একুশ!



এম. আলম
একুশ একটা সংখ্যা?
সংখ্যাই রয়ে যায়!
প্রতিবছর কিছু নির্দিষ্ট কর্মসূচী, আর
কিছু ছাপানো লেখায় একুশ
ফেব্রুয়ারী, প্রভাতফেরি
আমার খালি পায়ে
অদৃশ্য রক্তের দাগ লেগে যায়
সালাম বরকত রফিক জব্বার আমারই যে ভাই
আমার ভাইয়ের রক্তেই রেঙ্গেছে
একুশ, একুশ, একুশে ফেব্রুয়ারী
আবার ভুলে যাই, ঘরে ফিরি, ধুয়ে ফেলি পা
হয়ে যায়, রয়ে যায় আগের মতো
সংখ্যা হয়েই রয়ে যায়!
একুশ একটা সংখ্যা?
পদ্মাসেতুর জয়



ড.গৌরী ভট্টাচার্য্য
সৃজনের অন্তরালে, কুচক্রীর হাত,
রুখতে বক্রাঘাত,
বজ্রমুষ্ঠি হাত।
ঘরে বাইরে শত্রু,তবুও এগিয়ে,
বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে,
শিরদাঁড়া উঁচিয়ে।
যখন পায়েবেরি, হাতকড়া শিকল,
বিপত্তির আগল,
মুক্তিযুদ্ধে সফল।
বায়ান্নতে ভাষা, একাত্তরে মুক্তি
সত্যের পুনরুক্তি,
এগিয়ে প্রযুক্তি।
মেরুদণ্ড সোজা, পরগাছা তো নয়,
কষ্ট সইতে হয়,
পুড়েই খাঁটি হয়।
আত্মশক্তির জোর,বুদ্ধিবৃত্তির জয়,
দূর হল সংশয়,
পদ্মাসেতুর জয়।।
Eekusher kobita 2021
একুশ চেতনার অঙ্গীকার,,



সাহিদা রহমান মুন্নী
আমার সকল ভাবনা জুড়ে,
কাছে থাকি কিংবা দূরে
গান কবিতা গল্প সুরে,
জীবন থেকে জীবন ঘুরে!
পদ্ম জলে স্নিগ্ধ হাসি,
সকল বাঁধন উপচে আসি,
উদার চিত্তে ভালোবাসি,
লক্ষ অজুত রাশি রাশি!
রাতের কালোয় আশার আলো,
একটুতো না অনেক ভালো
মন্দ মুখে আগুন জ্বালো,
যাক হারিয়ে আঁধার কালো !
শিশির ভেজা দুব্বা ঘাসে,
ধবল পায়ে নূপুর হাসে!
মন হয়ে যায় উচাটন,
দেশ মাটি আর মায়ের মন !
বর্ণমালার মুগ্ধ মায়ায়,
বাংলা মায়ের মুক্ত ছায়ায়,
বাংলা ভাষার সৌরভে,
একুশ হাসে গৌরবে !
একুশ মনন একুশ চেতনার অঙ্গীকার…
Eekusher kobita 2021
অমর একুশে



ইফতেখার আহমেদ
১৯৫২ সালের সেই ২১শে ফেব্রুয়ারীর স্মৃতিময় দিন,
প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয় হয়েছিল সেদিন একবোরেই মলিন।
মাতৃভাষা রক্ষার্থে রাজপথে করে সেদিন আন্দোলন,
আত্মাহূতি দেন সেই আন্দোলনে শত শত জন।
সালাম,বরকত,রফিক শফিক জব্বারসহ অনেকেই শহীদ হন।
শহীদদের এসব আত্মত্যাগে বাঙ্গালী ফিরে পায় সেদিন মাতৃভাষা,
পূর্ণ হয় বাঙাগালীর ভাষা সংক্রান্ত সকল আশা।
পায় জাতিসঘের স্বৃীকৃতি ১৯৯৯সালের শেষের দিকে,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনে দিনটিকে।
২০০০সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী অবশেষে পালিত হয় এই দিবস,
বাঙ্গালী জাতি পায় সেদিন থেকে হৃদয়ে অসীম সাহস।
একুশের স্মরণে বাঙ্গালী আজ আন্দোলনে এগিয়ে চলে,
বাধা বিপত্তি সবকিছু আজ তাইতো দূরে দেয় ঠেলে।
এদেশের কবি,সাহিত্যিক, গীতিকার,সূরকার ও কন্ঠ শিল্পী সকলে,
প্রাণ ভরে লিখে,সূর দেয়,আর শিল্পী তার কন্ঠে গান তোলে।
একুশের এদিনে বাঙ্গালী এগিয়ে যায় নগ্ন পায়ে প্রভাত ফেরীর মিছিলে।
রাশি রাশি পুস্পমালা গেঁথে নেয় শহীদ মিনারের কোণে,
ভাষা অন্দোলনে যাঁরা শহীদ হলেন তাঁদের সকলের স্মৃতচারণে।
অভ্যন্তরীন প্রেম



জহির খান
খুব দূরে খুব করে বসে থাকে পোষা কুকুর
মাছের কাঁটায় তখন বিড়ালের ঠোঁটে চোট
কোলাহলে মেতে পাতিহাঁসের ছানা- পোনা
সদর উঠোন জুড়ে হাসে সোনালী রোদেরা
ভাব করে হেঁটে যায় কোমল ভেষজ শরীর
টেরাচোখ ফেরানোটা বড় দায় হয়ে পড়ছে
আর
বারান্দায় বসে এক কোকিল বসন্তের ভোর
কামভাব ছলাকলায় পিনিক উঠায় জিহ্বায়
অথচ
উষ্ণ বৌ এর গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা দুপুর
এই-সব প্রেমে পোয়াতি হয় বিকেলের গান
সু সন্ধ্যা লজ্জায় মুখ লুকায় প্রতিবেশী ঢেরায়
এখন নিবোর্ধ রাত সুরা পান করে পাহাড়ে উঠে
শহীদ স্মরণে একুশ



শাহাদাত হোসেন
শব্দ দিয়েই কতো জাদু
শব্দ দিয়েই গান,
এই ভাষাতেই রক্তে লেখা
বীর শহীদের নাম!
এই ভাষাতেই বলতে সোঁজা
বাংলা আমার মায়ের ভাষা,
এ ভাষাতে মিষ্টিমধুর
বর্ণমালায় প্রাণ,
এই ভাষাতেই লিখবো লেখা
শহীদ ভাইয়ের নাম!
এ ভাষাতেই মিষ্টি-মধুর
ভাবের আদান-প্রদান,
এ ভাষাতেই জীবন-মরণ
শহীদ ভাইয়ের দান!
ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া সব বীর-সেনানী
তাদের কথায় বুক ফুলিয়ে আজ হেঁটে চলি,
তাদের দেওয়া জীবনটা যে ভাষা দিল
তাদের ত্যাগেই বাংলা মোদের আপন হল!
স্মৃতির পাতায় ইতিহাসে তাদের কথা
তাদের রক্তে এসেছিল স্বাধীনতা,
তাদের চলা সংগ্রামীতে মুক্তি মিলে
তাদের কথা অন্তরেতে সংগোপনে!
Eekusher kobita 2021
ক্ষমা করে দিও



শেখ হাসান আল জুবায়ের জুয়েল
৫২ সালাম বরকত রফিক জব্বার
এনে দিলে ভাষার স্বাধীনতা
৭১ দিয়েছে একটি জাতীয় পতাকা
অখন্ড ভূমির স্বাধীনতা
৭১ বছর পর অপসংস্কৃতির কুঠার আঘাতে
মায়ের ভাষা খন্ডিত রক্তাত
ভাষা সৈনিকের সন্তানেরা লাঞ্চিত
আমার অহংকার আজ লজ্জিত
হায়রে অভাগা জাতি কিভাবে শোধীবে
আমার মায়ের ভাষা শহীদদের রক্তের ঋণ
ধীক জানাই নিজেকে ধীক জানাই অপসংস্কৃতির প্রভাব বিস্তারকারীদের
ক্ষমা করে দিও সালাম রফিক বরকত জব্বার