bangla chora book Nache Foring Tiring Biring
চাঁদ মামা

আমি হাঁটি হাঁটে চাঁদ,
এ কেমন কারবার-
মাকে ধরে খোকা করে,
প্রশ্ন এ বারবার।
গাড়িতে বা হাটা পথে
চাঁদ সাথে রয় যে
লুকোচুরি খেলে আর,
কতো কথা কয় যে।
হাত নেড়ে নেড়ে ডাকি,
চাঁদ মামা আসে না
কতো কথা বলি তবু,
প্রাণ খুলে হাসে না।
টুসী



ছোট্ট মেয়ে টুসী
পুষবে সাদা পুষি
মায়ের কাছ বায়না
আরতো কিছু চায় না
পুষি পেলেই খুশি।
বদ্যি হয়ে পথ্যি দেবে,
গলায় চেইন এক রত্তি দেবে
মাছ খাওয়াবে রোজ
রাখবে অনেক খোজ
চায় যে একটা পুষি
ছোট্ট মেয়ে টুসী।
ঘুম পাড়াবে কোলের পরে,
চুম দেবে যে চুপটি করে
ঠান্ডাজলে গুলে দেবে
ইস্বগুলের ভুষী
পুষি পেলেই খুশি
ছোট্ট মেয়ে টুসী।
দুধ খাওয়াবে ফিডার ভরে
কত রকম যত্ন করে
পুষি যে তার লাগবে
আদর করে ডাকবে
হ্যালো ম্যাডাম জুসী
ছোট্ট মেয়ে টুসী
পুষবে সাদা পুষি।
bangla chora
চড়ু–ই পাখি



চড়–ই পাখি কিঁচির মিচির,
করে ডাকাডাকি
ইচ্ছে করে খাঁচাতে নয়,
মনের খাঁচায় রাখি।
আমার সাথে রাগ করো না,
পড়তে যদি যাই
পড়ার সময় পড়তে হবে,
বলেছে দাদু ভাই।
আমার মত তুমিও চলো,
পাঠশালাতে যাবে
অ-আ পড়বে তুমি,
কেমন মজা হবে।
ইঁদুর সভাপতি



হুলো বিড়াল বুনো বিড়াল,
গাইছে ঈদের গান
ঝগড়া ছেড়ে ঢোলক বাজায়,
ব্যাঙ ও হনুমান।
কোরমা পোলাও ফিরনী পায়েশ,
শিয়াল মামা রাঁধছে
সা নি ধা পা মা গা রে সা
ময়না গলা সাধছে।
উড়ে উড়ে নাচে টিয়ে,
নাচে প্রজাপতি-
বনের ঈদের আয়োজনে,
ইঁদুর সভাপতি।
বৌ আনবো কাল



মাথায় বড় টোপর দিয়ে
খোকার নাকি আজকে বিয়ে
আহা সেকি খুশি-
চাচুর মতো ঘোড়ায় চরে
বৌ আনবে পালকী করে
সাথে নেবে জুশি
আহা সেকি খুশি।
বন্ধু ইঁদুর বন্ধু কুকুর,
বন্ধু জুসী নিয়ে-
আজকে বাবার ছোট্ট খোকার,
সত্যি নাকি বিয়ে।
বাড়ির সবাই হাসতে হাসতে
লুটোপুটি খায়-
এখন কোথায় ছোট্ট খোকার,
পাত্রী খুজে পায়।
নাগড়া পায়ে পাগড়ী মাথায়,
কুর্তা গায়ে লাল
হেলিয়ে শরীর বলছে খোকা,
বৌ আনবো কাল।
bangla chora
আর খেও না



ফোকলা দাঁতে হাসে দাদু,
পান চিবিয়ে গালে
গড় গড়িয়ে পিক পরে হায়,
ঠোঁট ভিজে যায় লালে।
হলুদ সাদা সবুজ কাপড়
যখন তখন লাল
সারাটা দিন জাবর কাটে,
ফুলিয়ে দুটো গাল।
শোন দাদু তোমায় নিয়ে,
দুরু কাঁপে জান
যেথায় সেথায় পিক ফেলো না,
আর খেয়ো না পান।
বুঝলো লোটন



ছড়ার ছন্দ খুঁজতে দ্বন্দ্ব,
লোটন বাবু চিৎ
হারবে না যে লিখতে হবে,
হতেই হবে জিৎ।
হাবে ভাবে মহাখুশি,
গলায় ধরে ভজন
উঠে-বসে-হাসে-কাশে
লম্ফ মারে ডজন।
কাগজ ছিড়ে ভরেছে ঘর,
কলমে নাই কালি-
লিখতে হবে তিনটি ছড়া,
কিন্তু মাথা খালি।
কোথায় কবে কে বলেছে?
ছড়া লেখা ইজি
লোটন বাবু তাই খাতাতে
লিখছে হিজিবিজি।
অবশেষে বুঝল লোটন,
নয়তো সহজ কিছু
এতদিনে ঘুরল শুধুই,
বেকার কাজের পিছু।
খুকুর প্রশ্ন



গালের পরে হাতটা রেখে,
ভাবছে খুকুর মন
কেমন করে চাঁদের বুড়ি,
বুনছে সূতোর কোণ।
সাদা সাদা মেঘ বালিকা,
হয় কেমনে তুলো
খুকুমনি পায়না খুঁজে,
বাতাসে কেন্ ধুলো?
আম কমলা আপেল লিচুর,
খায় খুকু জ্যাম রোজ
কিন্তু পথে জ্যাম কথাটার,
অর্থ পায় না খোঁজ।
নিত্য নতুন প্রশ্ন নিয়ে,
দাদুর কাছে যায়
খুকুর জবাব কেউ দিল না,
কেউ জানে না হায়।
রান্নায় কান্না



রান্না ঘরে কান্না করে,
গিন্নী রাঁধে ভোজ-
সাতটা দিনের সবটা জুড়ে,
রাঁধবে কেন রোজ?
বুপেন সোনার দু’দিন ছুটি,
কত্তা বাবুর তিন
গিন্নী রাঁধেন ফুপিয়ে কাঁদেন,
নাই ছুটি একদিন।
ঈদ পূজোতে এবার মজা,
পায় যে সবাই ছুটি
গিন্নী রাঁধেন গোমড়া মুখে,
ভাত-সালুন আর রুটি।
কেমন তরো এ আইন বলো,
সাত দিনেতেই রান্না
লাগবে ছুটি দিতেই হবে,
গিন্নীর সে কী কান্না।
bangla chora
বন্ধু ঘুড়ি



রোদে বেড়াই ঘুড়ি উড়াই,
ঘুড়ি নিয়েই খেলি
এই আমিটা ইচ্ছে হলেই,
ফড়িং ডানা মেলি।
মাঞ্জা সুতোয় বোকাট্টা
ধরতে ঘুড়ি ছুটি
সকাল-বিকাল মধ্য দুপুর,
ঘুড়ি আমার জুটি।
লাল সবুজ আর নীল বেগুনী,
ঘুড়ি উড়াই রোজ
সারাটা দিন করতে থাকি
লাটাই সুতোর খোঁজ।
তির তিড়িয়ে দক্ষিণ হাওয়ায়,
উড়াই যখন ঘুড়ি
মন মাঝারে তখন আমার,
আনন্দে ফুলঝুরি।
এই ঘুড়িটা সেই ঘুড়িটা
বন্ধু ঘুড়ি সব
ঘুড়ি আমার দুঃখ সুখের,
মধুর কলোরব।
নাচে ফড়িং



ফড়িং নাচে তিড়িং বিড়িং
নাচে সবুজ টিয়ে
তবলা বাজায় শিয়াল কাকু,
চড়–ই পাখির বিয়ে।
ধুম লেগেছে রান্না খাওয়ার,
রাঁধছে বনের মামী-
কোটের সাথে টাই পরেছে
বানর ভায়া দামি।
ঘোড়ার সাথে জেবরা মিলে,
খাচ্ছে নিমন্ত্রণ
ফুলের মালার টোপর পরে,
হাতীর আমন্ত্রন।
গান ধরেছে শ্যামা-শালিক,
নাচছে ময়ূর বেশ
সবুজ বনের মিলন-মেলা,
হয় না যেন শেষ।
চড়ু-ই-ভাতী



ঢাক গুড় গুড় ঢোল বাজিয়ে
নাচছে বনের হাতি ,
ঢ্যাম কুড় কুড় বোল মাতিয়ে
চলছে চড়ু-ই-ভাতী।
কাঠ এনেছে সিংহ মামা
রাঁধছে বনের মামী,
শামা শালিক ঘুঘু টিয়ে
পড়ছে পোশাক দামী।
শিয়াল ভায়া বাজায় বাঁশি
বানর মারে লম্প,
জ্যাব্রা আজি থ্যাবড়া নেচে
ডাকছে ভুমি কম্প।
বাঘ হনুমান পেঁচা বাদুড়
কাজের ফাঁকে গাইছে ,
ব্যাঙ কচ্ছপ রুই চিংড়ি
নদীর জ্বলে নাইছে।
সবুজ বনের সবুজ সুখে
চড়ু-ই-ভাতী চলছে,
সবাই সবার সুখের সাথী
আনন্দে মন দুলছে।
সমস্যার শেষ নাই



চুলা আছে গ্যাস নাই
কল ছারি পানি নাই
ধুততারি নানি নাই
মেজাজটা ভালো নাই ,
বাতি আছে আলো নাই
টিভি ছাড়ি ডিশ নাই
বড়শি ফেলি ফিশ নাই
চাকুরির জাত নাই ।
কিস্তিরও মাত নাই
একাউন্টে টাকা নাই
পথ ঘাট ফাকা নাই
কারো দেহে দিল নাই,
কথা কাজে মিল নাই
নিয়মের নীতি নাই
পাপ কাজে ভীতি নাই
কোন কিছু খাঁটি নাই
আম আছে আটি নাই ।
কৃষকের সার নাই
মাল্লার দাঁড় নাই
ভোট হাটে ভোট নাই
সাদা কোন নোট নাই ,
ন্যায় নীতির দাম নাই
ভালো কাজের নাম নাই
জনতার দেশ নাই
সমস্যার শেষ নাই ।
দোস্ত আমার দোস্ত!



দোস্ত আমার দোস্ত
তোমার গায়ে হাড্ডি আর
আমার গায়ে গোস্ত
দোস্ত আমার দোস্ত!
কথা কিছু বলো না
সোজা মতো চলো না
তুমি শুধু ব্যাস্ত
দোস্ত আমার দোস্ত!
নেতাদের মতো তুমি
কোন কথা রাখ না
কত খাও কিল গালি
গায়ে তো তা মাখো না।
মুখে মুখে হাতি ঘোড়া
মেরে কর হ্যাস্ত
দোস্ত আমার দোস্ত!
তোমার গায়ে হাড্ডি আর
আমার গায়ে গোস্ত।